কর্ণ ফুলীতে ওয়াটার বাসের যাত্রা শুরু WaterBus Service Sadarghat to Patenga Airport Chittagong
বাস ট্রেন অনেকেই ফেল করেছেন কিন্তু ফ্লাইট মিস?
কিন্তু বিমান ফ্রাইট মিস যে একজন মানুষকে কতটা দুর্ভোগে ফেলতে পারে তা শুধু ভূক্তভোগীরাই জানেন।
প্রিয় পাঠক,
বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হতে যেন আর কেউ ফ্লাইট মিস না করে, এবং একই সাথে টাকা ও সময় সেভ করতে পারে সেই লক্ষে জয়েন্ট ভেঞ্চারে চট্টগ্রামের সদরঘাট- টু -পটেঙ্গা ওয়ারটার বাস সার্ভিস চালু করছে সিডিডিএল এবং এসএস ট্রেডিং।
Full HD Video on Sadarghat to Patenga Airport, Chittagong:
তবে ওয়াটার বাস কিন্তু পানিতে চলা কোন বাস নয় এটি ইঞ্জিন চালিত দ্রুতগতির অত্যাধুনিক বোট।


হ্যা, প্রতিদিন চট্টগ্রামে যে ট্রাফিক জ্যাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তা এড়িয়ে চট্টগ্রামের যে কোন স্থান হতে সদরঘাট-পতেঙ্গা ওয়াটার বাস সার্ভিস ব্যবহার করে কিভাবে মাত্র ৩০ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌচাবেন আসুন একটু দেখে নিই।
সাথে থাকছে সদরঘাট ও পতেঙ্গায় নির্মিত অনিন্দ সুন্দর আধুনিক ০২টি Water Bus Service Terminals এর বিস্তারিত।

সদরঘাট ও পতেঙ্গা উভয় স্থানে সদ্য নির্মিত ২টি ওয়াটার বাস টার্মিনাল খুবই সুন্দর আবহ ও পরিবেশে অবস্থিত। এই ভিডিওতে আমি পুরোটাই দেখাব; সুতরাং পুরো পোষ্টটি পড়বেন ধের্য ধরে।
বড় বড় ট্রাফিক জ্যাম এড়িযে দ্রুততম সময়ে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে পৌছাতে আপনি চলে আসবেন Sadarghat Waterbus Terminal এ যেটি নিউমার্কেট হতে মত্র ১.১০ কিলোমিটার দুরে।
Terminal এ পৌছিই আপনি পরিচ্ছন্ন সুন্দর রাস্তা দিয়ে একটু এগিয়ে গেলেই পাবেন অত্যাধুনিক প্যাসেন্জার লাউঞ্জ ও অফিস । ওখানে বসেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন কর্নফুলি নদীর নয়নভিরাম দৃশ্য।

যাহোক, আসুন আমরা Sadarghat Waterbus Terminal একটু ঘুরে দেখি।
এই ফাকে বলে রাখি জাপানী ইয়ামাহা ইঞ্জিনের ৩৭ ফিট দৈর্ঘের এই Waterbus, যার সিট ক্যাপাসিটি মোট ৩০টি।
Terminal হতে Waterbus এ ওঠা-নামার জন্য Sadarghat ও Patenga উভয় পয়েন্টে তৈরী করা হয়েছে আধুনিক এবং সৌখিন জেটি।
এই জেটি দিয়েই যাত্রীরা ওয়াটার বাসে উঠবেন।
Sadarghat-Patenga Waterbus অপারেটিং কর্তৃপক্ষ সদরঘাট হতে পতেঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারন করেছে ৪০০/০০ টাকা। সাথে থাকছে ফ্রি WiFi সবিধা।
সপ্তাহে ৭ দিনই চলবে এই বাস। ওয়াটার বাসের বিস্তারিত সিডিউল ঃ
সকাল ০৭টা হতে শুরু হয়ে সদরঘাট-পতেঙ্গা-সদরঘাট এই ট্রিপ চলতে থাকবে রাত ১১ টা পর্যন্ত।
প্রকৃতপক্ষে এই Waterbus সদরঘাট হতে পতেঙ্গা টার্মিনালে পৌছাতে সময় নিবে ২০ মিনিট এবং সেখান থেকে তাদেরই সাটল বাস আপনাকে পৌছে দিবে সামান্য দুরের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে।
এই মোট ৩০ মিনিটে আপনি পৌছে যাবেন গন্তব্যে অর্থাৎ বিমান বন্দরে।
সাথে উপভোগ করবেন দারুন একটি কর্নফুলির নৌ বিহার।
নাই কোন ট্রাফিক জ্যাম, বা পরিবেশ দুষন।
আপনার লাগেজ বহন নিয়েও চিন্তা করতে হবেনা, রয়েছে তাদের নিজস্ব কর্মীবাহিনী।
হ্যা, এখন আমরা এসেছি পতেঙ্গা Waterbus টার্মিনালে।

এই টার্মিনালটি সম্পূর্ণ অংশই কর্নফুলি নদীর মধ্যে তেরী করা হয়েছে। এবং টার্মিনালের পন্টুন হতে সূনদর অধুনিক একটি জেটি তৈরী করা হয়েছে যাতে যাত্রীরা সহজ ও নিরাপদে ওয়াটার বাসে ওঠা নামা করতে পারেন।

এটি হচ্ছে সাটল বাস যাতে করে যাত্রীদের ওয়াটার বাস টার্মিনাল হতে বিমান বন্দর পর্যন্ত আনা নেওয়া করা হয়।

সদরঘাট হতে আগত যাত্রীরা এই স্থানে নামে এবং এই জেটি দিয়ে উঠে যায় টার্মিনালে এবং তারপর সাটল বাসে করে বিমান বন্দরে।
যাহোক ভিউয়ারস, নব নির্মিত ওয়াটার বাস টার্মিনালস, নয়নাভিরাম খরস্রোতা কর্নফুলি নদী এবং সবশেষে কর্নফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরের সংগম স্থল দেখিয়ে শেষ করতে যাচ্ছি কর্নফূলী ওয়াটার বাস সার্ভিস পর্ব। দেখা হবে অন্য কোন পর্বে। ততক্ষন ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
আল্লাহহাফেজ।
আসসালামু আলাইকুম।