আসসালামু আলাইকুম
স্বাগত জানাচ্ছি পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে অবস্থিত কুমারটুলী এলাকার ঐতিহাসিক নিদর্শন আহসান মঞ্জিল এ। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ঢাকার জিপিও, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ি বা টিএসসি হতে হতে মাত্র ৩/৪ কিলোমিটার দুরে যেখানে রিক্সায় করে যাওয়া যায়। পাবলিক বাস, নিজস্ব পরিবহন বা রাইডশেয়ারের মাধ্যমেও আহসান মঞ্জিলে যাওয়া যায়।
আমরা আরো অনেকের মতই ফ্যামিলিসহ বেশ কয়েকজন আজ বেড়াতে এসেছি আজসান মঞ্জিলে। রিক্সায় ইত্তেফাক মোড় হতে ভাড়া নিয়েছে ৭০ টাকা।

এই মঞ্জিল যা বর্তমানে যাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচেছ; আগে ঢাকার নবাবদের বসবাসের বাড়ি এবং জমিদারী পরিচালনার কাচারী বা অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হত।

খাজা আহসানুল্লাহ-র নাম অনুসারে এই বাড়ি ও অফিসের নাম করন করা হয় আহসান মঞ্জিল। খাজা আহসানুল্লাহ-র বাবা নওয়াব আবদুল গনি এ্টি প্রতিষ্ঠা করেন।



ঢাকা আহসান মঞ্জিল যাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে:
(Ahsan Manzil, Dhaka Opens)
শনিবার হতে বুঝবার : সকাল ১০:৩০ হতে বিকাল ৫:৩০ পর্যন্ত,
শুক্রবার : বিকাল ৩টা হতে সন্ধা ৮০০ পর্যন্ত
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
Dhaka Ahsan Manzil, Dhaka, Bangladesh Weekly Holiday is Thursday.
নির্ধারিত এই সময়ের বাইরে যাদুঘর এলাকায় অবস্থান করা নিষেধ।

ঐতিহাসিক এই মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ ১৮৫৯ সালে শুরু হয়ে ১৮৭২ সালে শেষ হয়। প্রতিষ্ঠা হতে আজ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার এই ভবনের সংস্কার করা হয়েছে। বর্তমানে এটি পরিচালনার মূল দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর।


১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় এখানে ।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস : জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ বর্তমান আহসান মঞ্জিলের স্থানে ”রংমহল” নামে একটি প্রমদভবন তৈরী করেন। পরবর্তীতে তার পুত্র শেখ মতিউল্লাহ এটি ফরাসী ব্যাবসায়ীদের নিকট বিক্রি করেন এবং তারা এটি বাণিজ্য কুঠি হিসাবে ব্যবহার করত।

ওই যুগে নবনির্মিত প্রাসাদ ভবনটিকে বলা হত ”রংমহল” ও পুরাতন ভবনটি ”অন্দরমহল” নামে পরিচিত ছিল
১৮৮৮ ও ১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৮৮৮ সালে ভূমিকম্প পরবর্তী মেরামতের সময় সুউচ্চ গম্বুজ তৈরী করা হয় যা ঐ সময় ঢাকাবাসীর দৃষ্টি কাড়ত।

১৯৭৪ সালে ঢাকার নওয়াব পরিবারের সদস্যরা এটি নিলামে বিক্রি করতে চাইলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহসান মঞ্জিলের স্থাপত্য সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে নিলাম প্রস্তাব নাকচ করেন।
আহাসান মঞ্জিলে রয়েছে মোট ৩১ টি কক্ষ যার ২৩টিতে বিভিন্ন রকম গ্যালারী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এ যাবত আহসান মঞ্জিলের সংগ্রহশালায় মোট নিদর্শন সংখ্যা ৪০৭৭টি। এই নিদর্শন সমুহ ঢাকার নবাব তথা বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারন করে।
Our Social Channels:
https://www.youtube.com/channel/UCf7V6mErZD00G4UAlXMbSiA?
https://www.instagram.com/travell2life/