ইন্ডিয়া না ভারত India or Bharat?

ভ্রমণ বাংলা No Comments

প্রচলিত “President of India” শব্দটিকে প্রতিস্থাপন করে জি-২০ ( G20) সম্মেলনে যোগদানকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আয়োজিত একটি ভোজসভার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো “ভারতের রাষ্ট্রপতি” (President of Bharat) শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

দ্রৌপদী মুর্মকে প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট অব ভারত হিসেবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্টের এক নৈশ ভোজের আমন্ত্রণ পত্র ছাপানো হয়। আর এ কারণেই ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে কংগ্রেস এক হাত নেয় ক্ষমতাসীন বিজেপি’র উপর। কংগ্রেস মনে করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ত সহ নানাবিধ বড় সমস্য হতে দৃষ্টি সরানোর প্রচষ্টা হিসেবে এখন দেশের নাম পরিবর্তন করতে মরিয়া ক্ষমতাসীন বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) সরকার।   

বিষয়টি এমন সময়ে উত্থাপন করা হয়েছে যখন ০৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন চলছে এবং এই টি-টোয়েন্টি সম্মেলনের হোস্টিং কান্ট্রি স্বয়ং ভারত। অর্থাৎ ইন্ডিয়াকে ভারত হিসেব প্রথম অফিসিয়াল ব্যবহার হয় ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

ভারতীয় লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্র মহাজন বলেছেন যে ভারতের নাম ইন্ডিয়ায় পরিবর্তন করা এটা ছিল ব্রিটিশদের একটি চাল।

সুমিত্রা মহাজন আরো বলেন আমি বুঝিনা যে ইন্ডিয়া এবং ভারত নাম নিয়ে এত হইচই করার কি আছে যেখানে আমাদের দেশের নাম ছিল ভারত আবার এটিকে হিন্দুস্তানও বলা হয়ে থাকে। ভারতের এই প্রাক্তন লোকসভার স্পিকার মহাজন বলেন আমি মনে করি কোন লোকেরই ইন্ডিয়াকে ভারত বলার ব্যাপারে কোন অভিযোগ থাকা উচিত নয় কারণ আমরা নিজেদেরকে ভারতীয় মনে করি।

আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত মনে করেন আমাদের প্রত্যেক ভারতীয়র মনে করা উচিত যে, আমাদের দেশের নাম ভারত এবং আমরা একজন ভারতীয়। বহির্বিশ্বের কেউ বিষয়টি বুঝুক আর না বুঝুক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। তাদের প্রয়োজন হলে বুঝে নেবে। কিন্তু আমরা ভারতীয়।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ পিডিটি আচার্য মনে করেন ভারত এবং ইন্ডিয়া এই দুটি শব্দ পরস্পর ইন্টারচেঞ্জেবল হওয়া উচিত নয়। তবে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে পুরোপুরি ভারত ব্যবহার করতে সংবিধানের অনেক জায়গাতে অনেক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন হবে।

Leave a comment