ঢাকায় প্রথম উড়ালসড়ক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: কোথা থেকে কিভাবে উঠবেন, নামবেন, খরচ কত এবং বিধি বিধান

ভ্রমণ বাংলা No Comments

ঢাকায় প্রথম উড়ালসড়ক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

উদ্বোধন: দেশের প্রথম উড়ালসড়ক উদ্বোধন করেন ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

উড়াল সড়কে প্রথম চলাচল: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ রোববার সকাল ০৬ টা হতে।

দৈর্ঘ্য: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা ঢাকা উড়ালসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার।

বিস্তার: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা রেললাইন-তেজগাঁও, মগবাজার-কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক এলিভেটেড এক্সপ্রেজ ওয়ে

first dhaka elevated expressway kawla to kutubkhali

উড়াল সড়কে উঠা নামা করবে কিভাবে: বিভিন্ন স্থানে রয়েছে র‌্যম্প যার মাধ্যমে শুবিধামত ওঠা নামা করতে এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌছাতে সাহায্য করবে উড়ালসড়ক।

কে কোথা হতে উঠবেন উড়াল সড়কে: আপনি যদি ঢাকার ফার্মগেট, ধানমন্ডি, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড, মোহাম্মদপুর অথবা শাহবাগ, পুরান ঢাকা ও সেগুনবাগিচা হতে এসে এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়ালসড়কে উঠতে চান, আপনাকে যেতে হবে বিজয় সরণি ওভারপাস অথবা তেজগাঁও এলাকায়।

কেউ যদি তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে চান সেখানেও আরেকটি সংযোগ রয়েছে ওঠার জন্য। এটি ভেঙ্গে ফেলা Rangs Bhobon এই এলাকায়।

এছাড়া বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়েও এক্সপ্রেসওয়ে (উড়ালসড়ক) এ উঠতে পারবেন।

উত্তর দিক থেকে এসে নামার জন্য সহজ পথ ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড।

আপনি যখন মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, নিউমার্কেট যেতে চান সেক্ষেত্রে ইন্দিরা রোডে নামাই উত্তম।

from where to use express way

ঢাকার প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য আরও যে সব পথ রয়েছে সেগুলোর তালিকাঃ

উত্তর হতে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থানঃ

ক)        কাওলা, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের,
খ)        আর্মি গলফ ক্লাব, বিমানবন্দর সড়ক ও প্রগতি সরণি।

উত্তর হতে দক্ষিণ অভিমুখী গাড়ি নামার স্থানঃ

ক)        বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ,
খ)        মহাখালী বাস টার্মিনাল,
গ)        ইন্দিরা রোড সংলগ্ন, ফার্মগেট ।

উত্তর অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থানঃ

ক)        বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন,
খ)        বনানী রেলস্টেশনের সামনে।

উত্তর অভিমুখী যানবাহন নামার স্থানঃ

ক)        মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে।
খ)        বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সামনে বিমানবন্দর সড়ক।
গ)        কুড়িল বিশ্বরোড
ঘ)         বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।

ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়কে চলাচলের বিধি-বিধান ও বিধি-নিষেধ সমূহঃ

গণবিজ্ঞপ্তিতির (০১ সেপ্টেম্বরর ২০২৩ তারিখ শুক্রবার) মাধ্যমে সেতু বিভাগ জানায় ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে/উড়ালসড়কে দুই ও তিন চাকার যানবাহন অথ্যাৎ মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা উড়ালসড়কে চলতে পারবে না। যে সমস্ত গাড়ি উড়ালসড়কে চলবে সেগুলো আবার উড়াল সড়কের কোথাও দাঁড়াতে পারবে না বা যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা যাবে না। উড়ালসড়কে পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ।

উড়াল সড়কে /এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা: সেতু বিভাগ জানিয়েছে, মূল উড়ালসড়কে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে এবং র‌্যাম্প দিয়ে ওঠা নামার সয় সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

এবার আসুন জেনে নেয়া যাক দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয় বা উড়াল সড়কের টোল কত?

শ্রেণি-১: কার, ট্যাক্সি, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম), স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম)—টোল ৮০ টাকা।
শ্রেণি-২: মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত)—টোল ৩২০ টাকা।
শ্রেণি-৩: ট্রাক (৬ চাকার বেশি)—টোল ৪০০ টাকা।
শ্রেণি-৪: সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি)—টোল ১৬০ টাকা।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা ঢাকা উড়ালসড়কের অর্থ সংকুলান: Public Private Partnership বা পিপিপি (সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগের) নির্মাণ ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

তবে অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও পরামর্শক ব্যয়সহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা ঢাকা উড়ালসড়কেরমোট খরচ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।

২০০৯ সালে এই প্রকল্প নেওয়া হলেও সময় মত শেষ করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা তথা বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক, মেট্রো রেইল এবং ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস সমূহ ঢাকার মানুষের দুঃসহ যানজট হতে মুক্তি দিয়ে ঢাকার গনযোগাযোগ এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সৃষ্টি করবে এমনটা আশা করা বোধ হয় অনুচিৎ হবে না।

তথ্য সূত্র: সরকারি বিজ্ঞপ্তি ও ইন্টারনেট

Categories
Tourism
Leave a comment