মহিলা হজযাত্রীর সাথে মাহরাম যাওয়া আবশ্যক এ বিষয়ে নতুন গেজেট প্রকাশ করেছে সৌদি সরকার। গেজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ডঃ তৌফিক আল-রাবিয়াহ ঘোষণা করেছেন ”মাহরাম (রক্তের আত্মীয় বা যাদের সাথে বিবাহ হারাম) আর একজন মহিলা যাত্রীর সাথে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, যিনি বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে হজ বা ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব যেতে চান”৷
মন্ত্রী সোমবার কায়রোতে সৌদি দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন মহিলা হজযাত্রীর সাথে মাহরামের প্রয়োজন কি না তা নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী বিতর্কের অবসান ঘটান।
প্রসঙ্গতঃ মন্ত্রী বলছিলেন যে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের (Grand Mosque of Makkah) সম্প্রসারণের জন্য ব্যয় ২০০ বিলিয়ন রিয়াল ছাড়িয়ে গেছে এবং পবিত্র মসজিদের ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে।
আল-রাবিয়া বলেছেন যে সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য ওমরাহ ভিসার সংখ্যার জন্য কোন কোটা বা সীমা নেই। তিনি বলেন, “যে কোনো মুসলমান যে কোনো ধরনের ভিসা নিয়ে সৌদিতে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।
আল-রাবিয়াহ বলেন, হজ এবং ওমরাহ পালনের খরচ কমানোর বিষয়ে সৌদি আরব আগ্রহী। তবে খরচের কমানোর সাথে আরো বেশ কয়েকটি বিষয় জড়িত। মন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি সরকার কর্তৃক আধুনিক প্রযুক্তির প্রবর্তন ও ব্যবহার এবং যারা দুটি পবিত্র মসজিদ পরিদর্শন করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্বান সেবার ডিজিটালাইজেশন সংক্রান্ত প্রচেষ্টার উল্লেখ করেন।
হজ যাত্রীদের সে সমস্ত সেবা বৃদ্ধি করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রোবট ব্যবহার করা, ও নুস্ক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা অন্তর্ভুক্ত, যা গ্র্যান্ড মসজিদে হজযাত্রী এবং দর্শনার্থীদের জন্য অনেক উপকারী। অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইন প্লাটফরমের মাধ্যমে একটি ওমরাহ পারমিট বুক করা সম্ভব এবং তার পরে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিসা পাওয়া যাবে,” বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে প্রচলিত নিয়মের বাহিরে গিয়ে প্রথমবারের মত সৌদি সরকার মহিলাদের একাকি হজ করার অনুমোতি দিল।
মহিলা ওমরা ও হজযাত্রীদের মাহরাম সাতে নেওয়ার বিষয়ে ইসলামী শরীয়াহ কি বলে? শরীয়াহ মোতাবেক প্রচলিত মাহরাম নীতির সাথে বর্তমানে সৌদি সরকারের ঘোষিত নীতি কি সামঞ্জস্য কিনা আসুন আলোচনা করা যাক।