প্রিয় পাঠক,
আসসালামু আলাইকুম।
স্বাগত জানাচ্ছি কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘর ভ্রমণ এপিসোডে।
ময়নামতি জাদুঘরের অবস্থান: কুমিল্ল শালবন বিহারের সাথে সংলগ্ন। আপনি ঢাকা চট্টগ্রাম যে কোন স্থান হতে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এসে সেখান থেকে রিক্সা, সিএনসি বা অটোতে করে চলে আসতে পারেন।
Full HD Video on Moinamati Museum, Comilla.
ময়নামতি জাদুঘরে প্রবেশ মূল্য মাথাপিছু ২০ টাকা করে টিকেট কেটে আমরা প্রবেশ করছি ময়নামতির এই নৃতাত্বিক জাদুঘরে। আমরা দলে আছি আছি মোট ১০ জন।

কুমিল্লা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা কাল: ১৯৬৫ সালে কোটবাড়ি কুমিল্লার শালবন বিহারের পাশে।


জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য: শ্রীভবদের মহাবিহার, কোটিলা মুড়া, চারপত্র মুড়া, রূপবানমুড়া, ইটাখোলা মুড়া, আনন্দ বিহার, রানীর বাংলা, ও ভোজ রাজার বাড়ি বিহার খননকালে যে সমস্ত প্রাচী কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পুরাসামগ্রী সন্ধানপাওয়া যায় সেসব বস্তু সংরক্ষণ ও প্রদর্শন।

কুমিল্লা জাদুঘরের টিকেট মূল্য: জাদুঘরের প্রধান গেইট হতেই আপনি ২০ টাকা দিয়ে টিকেট করতে পারেন। তবে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকেট লাগে না। প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য ৫ টাকা, সার্কভূক্ত দেশের ভিজিটরদের টিকেট ১০০ টাকা আর অন্য দেশের জন্য ২০০ টাকা।
এই রেট বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত সবগুলি নৃতাত্বিক জাদুঘরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আসুন জেনে নিই ময়নামতি জাদুঘর বন্ধ-খোলার সময়সূচীঃ
ময়নামতি জাদুঘর গ্রীষ্মকালে খোলা পাবেন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
নামাজ ও দুপুরের খাবারের জন্য দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে।
জাদুঘর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়।
আর শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।
সাধারণ ছুটি রবিবার এবং সোমবার বেলা ২.০০ থেকে খোলা থাকে। এছাড়াও সরকারী কোন বিশেষ দিবসে জাদুঘর পরিদর্শন করতে পারেন ।
সমগ্র জাদুঘরে মোট প্রদর্শনী বক্স/বস্ত রয়েছে ৪২টি।

প্রদর্শনী আধারগুলোতে প্রত্মতাত্ত্বিক স্থান খননের উম্মোচিত স্থাপত্যসমৃদ্ধ ধ্বংসাবশেষের ভূমি-নকশা, ধাতু লিপি ফলক, প্রাচীন মুদ্রা, মৃন্ময় মুদ্রক-মুদ্রিকা, পোড়া মাটির ফলক, ব্রোঞ্জ মূর্তি, পাথরের মূর্তি, লোহার পেরেক, পাথরের গুটিকা, অলংকারের অংশ এবং ঘরে ব্যবহৃত মাটির হাড়ি পাতিল প্রদর্শিত হচ্ছে।

এছাড়া আধারের ফাঁকে ফাঁকে মেঝের উপর জাদুঘর ভবনের বিভিন্নস্থানে কিছু পাথর এবং ব্রোঞ্জ মূর্তিও প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। এসব মূর্তির কয়েকটি প্রাচীন সমতটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগৃহীত।

জাদুঘরে প্রদর্শনের উল্লেখযোগ্য পাথর ও ব্রোঞ্জমূর্তি হচ্ছে- বিভিন্ন ধরনের পাথরের দন্ডায়মান লোকোত্তর বুদ্ধ মূর্তি, ত্রি বিক্রম বিষ্ণুমূর্তি, তারা মূর্তি, মারীছী মূর্তি, মঞ্জুরের মূর্তি, পার্বতী মূর্তি, হরগৌরীমূর্তি, নন্দী মূর্তি, মহিষমর্দিনী মূর্তি, মনসা মূর্তি, গনেশ মূর্তি, সূর্যমূর্তি, হেরুক মূর্তি এবং ব্রোঞ্জের বজ্রসত্ত্ব মূর্তি।


এছাড়াও ব্রোঞ্জের ছোট-বড় আরও মূর্তি রয়েছে। এ জাদুঘরে রয়েছে ব্রোঞ্জের তৈরী বিশালাকায় একটি ঘন্টা। যার ওজন ৫শ’ কেজি। এর ব্যাস ৮৪ সেন্টিমিটার। এর উপরের বেড়িসহ উচ্চতা ৭৪ সেন্টিমিটার।


এ জাদুঘরের আধারে সুরক্ষিত রয়েছে ময়নামতিতে পাওয়া স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা। পোড়ামাটির ফলক। ব্রোঞ্জ ও তামার তৈরী সামগ্রী। লোহার তৈরী সামগ্রী। মাটির তৈরী বিভিন্ন প্রকারের খেলনা। কাঠের কাজের নিদর্শন। তুলট কাগজে লেখা প্রাচীন হস্তলিপির পান্ডুলিপি। বিভিন্ন নমুনার মৃৎপাত্র ইত্যাদি।

Our Social Channels:
https://www.youtube.com/channel/UCf7V6mErZD00G4UAlXMbSiA?
https://www.facebook.com/Travell2Life